চার ইমামের একজনের অনুসরণ করা কি ওয়াজিব?

প্রশ্ন 

আসসালামু আলাইকুম ও রহমাতুল্লাহ 

মুফতি সাহেবের কাছে জানার বিষয় যে চার ইমামের মধ্য কোন এক ইমামের তাকলিদ করা কি জুরুরী ? আমরা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লামের তাকলিদ কেন করিনা ? শিয়া কার তাকলিদ করিয়া থাকে দয়া করিয়া জানাবেন

প্রশ্ন কারী 

মমুহাম্মদ আসিফ মুগল

উত্তর

তকলীদের মানে :
قبول قول الغیر بلا حجۃ

সমস্ত ফানের মাহীর হয় | 

এই কথাটা চিন্তার করার যে এক লক্ষের অধিক সাহাবায়ে কেরাম , তিনারা ও নিজে কুরআন হাদীস কে বোঝার জন্য নিজের থেকে বেশি  জ্ঞানী সাহাবীদের কে জিজ্ঞাসা করতেন | রিয়াওতের মধ্য পাওয়া যায় , যে মাত্র ১০ জন সাহাবী ফতোয়া দিতে পারবে , আসুন কল্পনা করা যাক যে এই ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যখন তারা সরাসরি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে অনুগ্রহ লাভ করেছিল, তবুও তারা আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ এবং ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু অনহুম  এর মত ফকীহ সাহাবীদের দিকে রযূ করা হতো | তাহলে আজকের জামানার কি অবস্থা |

এই চার ইমামের নির্ধারিত নিয়ম-কানুনই আমাদের জন্য যথেষ্ট। তিনি আইনশাস্ত্রকে একটি নিয়মিত শিল্প ফর্মে পরিণত করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করেছিলেন এবং সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়ম নির্ধারণ করেছিলেন। তাই চার ইমামের একজনকে অনুসরণ করা ওয়াজিব, কিন্তু কোনো আলেম যদি মুজতাহিদের পদে থাকেন, তাহলে তার অনুসরণ করা ওয়াজিব নয়। এটা শুধুমাত্র সাধারণ আলেম ও সাধারণ মানুষের জন্য ওয়াজিব।

তাকলীদর মানে  এটা নেওয়া যে আমরা ইমামে আজম আবু হানিফার  অনুকরণ করি কিন্তু আমরা  কেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করি না, এটা ভুল কথা , ইমামে আজমেরই তাক লিদ , কারণ তারা কুরআন ও হাদীসের আলোকে হানাফী আইনশাস্ত্র সংকলন করেছেন |

এতে মহানবী (সা.)-এর অনুসরণ করা হচ্ছে, কিন্তু মুজতাহিদ ছাড়া পবিত্র কুরআনের অর্থ ও হাদীসের সঠিক অর্থ নির্ণয় করা কঠিন, তাই একজন ইমামের মতামতকে নির্ভরযোগ্য বলে গণ্য করা হয়।

আহলে শিয়া আইনশাস্ত্রকে জাফরিয়া বলা হয়, আরও বিস্তারিত জানার জন্য একজন শিয়া আলেমের সাথে যোগাযোগ করুন।

واللہ و رسولہ اعلم بالصواب۔

এই পোস্টটি শেয়ার করুন
Scroll to Top

آپ کا سوال ہمارا جواب

فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
Contact Information/ رابطے کی معلومات